আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নতুন এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুইবার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন তারা। এই দুই ঘটনার প্রথমটিতে জড়িয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি, পরের ঘটনায় পুরো দলই জড়িয়ে পড়েছিল। যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানের জন্য এই ম্যাচে জয় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই দলটি অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই আগ্রাসন শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণে পরিণত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি।
শাহিন ও ব্রিটজকের মধ্যে প্রথম বিবাদের সূত্রপাত হয় শাহিনের একটি বল ডিফেন্স করার পর দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে। ব্যাট হাতে কিছু একটার ইঙ্গিত দেন ব্রিটজকে, তা ভালোভাবে নেননি শাহিন। এরপর ওভারের শেষ বলে রান নেওয়ার সময় হঠাৎ ব্রিটজকের সামনে চলে আসেন শাহিন, যার ফলে প্রায় সংঘর্ষ ঘটে। ব্রিটজকে ভারসাম্য হারানোর উপক্রম হলেও কোনোভাবে নিজেকে সামলে নেন। ঘটনার পর দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি সামলাতে আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
এরপর আরও একটি ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার ব্যাট থেকে ভালো ইনিংস আসছিল, কিন্তু এক রান নেওয়ার চেষ্টায় অপরপ্রান্তের ব্যাটারের সিদ্ধান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এর মধ্যেই পাকিস্তানের সাউদ শাকিল সরাসরি থ্রোয়ে তাকে রান আউট করেন। রান আউটের পর শাকিল, কামরান গুলাম ও বাবর আজম বাভুমার দিকে তেড়ে যান এবং তার মুখের সামনে উল্লাস করেন, যা ক্রিকেটের চিরায়ত স্পোর্টসম্যানশিপের পরিপন্থী বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন আচরণ পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সমালোচনার মুখে ফেলেছে। অতীতে ভারতের জসপ্রিত বুমরাহও অস্ট্রেলিয়ার স্যাম কনস্টাসকে আউট করে একই ধরনের আচরণ করেছিলেন, যা তখন বিতর্ক তৈরি করেছিল। এবার পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এমন আচরণও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, যা তাদের শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।