বলিউড তারকা কমল সদানার জীবনের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো, কিন্তু ভয়াবহ বাস্তবতা সব বদলে দেয়। ১৯৯২ সালে কাজলের সঙ্গে ‘বেখুদি’ ছবিতে বলিউডে অভিষেক হয় কমলের। তবে তার দুই বছর আগেই ঘটে যায় জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা, নিজের ২০তম জন্মদিনেই চোখের সামনে পরিবারের মৃত্যু দেখে ফেলেন তিনি।
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কমলের বাবা একে একে গুলি করেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে, এরপর গুলি চালান ছেলের ওপরও। শেষে নিজেকেও শেষ করেন তিনি। অলৌকিকভাবে বেঁচে যান কেবল কমল সদানা। সেই মুহূর্তে তাঁর গলায় গুলি লাগলেও আশ্চর্যজনকভাবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
বর্তমানে ৫৪ বছর বয়সী কমল আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ঘটনার দগদগে ক্ষত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মা আর বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, তখনো বুঝিনি আমিও গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমার শার্টে রক্ত দেখে ডাক্তারই প্রথম বুঝলেন আমি আহত।’হাসপাতালে নেওয়া হলে দেখা যায়, গুলি তাঁর গলা ভেদ করে পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের পর যখন বাড়ি ফেরেন, তখনো বাড়ির ভেতর পড়ে রয়েছে পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহগুলো। অথচ আজও তিনি সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন।
কমল বলেন, ‘এই গুলি কোনোভাবে গলার সব স্নায়ু এড়িয়ে বেরিয়ে যায়। আমি বেঁচে যাই, কোনো স্থায়ী শারীরিক সমস্যা ছাড়াই। আমি বিশ্বাস করি, এটা এমনি এমনি হয়নি—কোনো উদ্দেশ্য ছিল, হয়তো আমাকে কিছু করার জন্যই বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তাই আমি জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।’
তবে সেই ভয়াবহতার মধ্যেও কমল মনে করেন, একটি দুঃখজনক ঘটনা দিয়েই তাঁর শৈশব কিংবা মা–বাবার জীবনকে মূল্যায়ন করা উচিত নয়। ‘এটা খারাপ একটা ঘটনা, কিন্তু তাই বলে আমার পুরো পরিবার খারাপ ছিল না, আমার বাবা খারাপ মানুষ ছিলেন না’, বলেন তিনি।