২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেবে ব্যাংক থেকে। এরপর রয়েছে বিদেশি ঋণ। তবে এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্য কমানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী এ বাজেটের ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, যা বাস্তবায়ন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও তার আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই অংক দাঁড়াচ্ছে ৫.২ শতাংশ।
এবারের বাজেটের ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হলে অর্থমন্ত্রীকে ওই অর্থের ৩৪ শতাংশই জোগাড় করতে হবে ঋণ করে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার মতো ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
অভ্যন্তরীণের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে রেকর্ড ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে, যা মোট ব্যয়ের ১৭.৩৭ শতাংশ। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার এই লক্ষ্য বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে অর্থনীতিতে বাইরে থেকে আসা তারল্য যোগ হয়। তাতে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া সেই ঋণের জন্য সরকারকে সুদও গুনতে হয়।
জানা গেছে, আইএমএফের চাপে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানো হচ্ছে। ৩৫ হাজার কোটি থেকে কমিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
এবার দেশি-বিদেশি ঋণের জন্য ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।