আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভন্ন খাতের প্রণোদনা বাবদ মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৪১ কোটি টাকার কর ছাড় দিচ্ছে সরকার। এ টাকাকে ভর্তুকি হিসাবে দেখছে সরকার। এবারই প্রথম ‘প্রত্যক্ষ করব্যয়ের’ পরিমাণ হিসাব করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাজেটে প্রাক্কলিত ভর্তুকির পরিমাণ যোগ করলে মোট ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৯ লাখ ২২৮ কোটি টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট পেশকালে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
‘প্রত্যক্ষ করব্যয়’ বলতে এনবিআর জানিয়েছে, রেয়াত, ছাড়, অব্যাহতি হ্রাসকৃত হারে করারোপ এবং মোট করযোগ্য আয় গণনা হতে আয় বাদ দেওয়াকে বোঝায়। এটি এক ধরনের কর ভর্তুকি। এই ভর্তুকি যদি কর হিসেবে আহরিত হতো তাহলে মোট আহরিত করের সঙ্গে এটি যুক্ত হতো এবং করের পরিমাণ বেড়ে যেত।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের অন্যান্য ভর্তুকির সঙ্গে করব্যয়ও মোট ভর্তুকির অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, ‘প্রত্যক্ষ করব্যয়’ এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রণোদনা, সামাজিক সাম্যাবস্থা ও শিল্প সহায়তার সাথে সাথে সামগ্রিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে সঙ্গতি রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগ বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মাঠ পর্যায়ের বাস্তব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণপূর্বক ‘প্রত্যক্ষ করব্যয়’ প্রাক্কলন করেছে, যা আয়কর বিভাগের সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জনকৃত।