বাণিজ্য ডেস্ক: বাজারে বেড়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। তবে চড়া দামের প্রভাবে নেই আগের মতো বেচাকেনা। এতে দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। চড়া দামের কারণে ক্রেতাদের কেউ কেউ শুধু দাম জিজ্ঞেস করেই হাটছেন উল্টো পথে। কেউবা আবার চাহিদা কমিয়ে কিনছেন স্বল্প পরিমানে।
ক্রেতারা বলছেন, সরকার তেলের দাম ৩৮ টাকা বেশি নির্ধারিত করে দিয়েছে যা পুরোপুরি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আমাদের এখন কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু করারও তো কিছুই করার নেই। কিনতে তো হবেই।
ঊর্ধ্বমুখী দামে খুব একটা স্বস্তিতে নেই খুচরা বিক্রেতারাও। ক্রেতা সাধারণ খরচটা বেশ কমিয়ে আনায়, দৈনিক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তেলের দাম এতো বেশি যে ব্যক্তি আগে কিনত ৫ লিটার সে এখন নিচ্ছে ১ লিটার। আমাদের চালান বেশি লাগছে এবং লাভের সংখ্যাও কম হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, সাধারণ মানুষের আয়ের দিকটাও তো চিন্তা করে দেখা উচিত। হঠাত করে এভাবে দাম বৃদ্ধি করলে সাধারণ মানুষের জন্য তেল কেনা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সরকার যদি সাধারণ মানুষের দিকে একটু তাকাতও তাহলে অনেক উপকার হতো।
বাজার নিয়মিত তদারকিতে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এদিকে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দাম রাখায় রাজশাহীর সাহেব বাজারের ২টি দোকানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি। এদিকে নিত্যদিনের খরচের ভারসাম্য মেটাতে সয়াবিন তেলের দর কমানোর দাবি ভোক্তা সাধারণের।