ভারতে যত মেডিকেল টুরিজম হয়, তার ৫০-৬০ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে রোগী যাওয়া কমেছে। ভারতের রেটিং অ্যাজেন্সি কেয়ার এজ বলছে, এভাবে চললে ২০২৪ সালে তা নেমে আসবে ১০-১৫ শতাংশে। এ অবস্থায় দেশের হাসপাতালগুলোকে রোগীবান্ধব হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদদের।
দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়াদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য প্রতিবেশি দেশ ভারত। কারণ হিসেবে বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সেবা, নির্ভুল তথ্য ও সময় দিয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করা।
১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের রেটিং অ্যাজেন্সি কেয়ার এজের তথ্য বলছে, দেশটির মেডিকেল টুরিজমের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আসে বাংলাদেশ থেকে। ৫ আগস্টের পর সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৫-৪০ শতাংশে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে বছর শেষে এই হার নেমে দাঁড়াবে ১০-১৫ শতাংশে।
কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সৈয়দ রিফাত ফারুকের কথাতেও মিললো একই চিত্র। তিনি বলেন, প্রতি মাসে যেখানে ২০০ এর বেশি মেডিকেল ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতো হাসপাতালটি এখন তা নেমে এসেছে ১০ এর ঘরে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কতজন রোগী ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেন এবং এর ফলে কী পরিমাণ অর্থ দেশটিতে বাংলাদেশের মানুষ খরচ করেন, তার নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে।