শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হলো। মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম শতক এবং ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের ম্যাচটা ভেস্তে গেলে বৃষ্টিতেই। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কাট-অফ টাইম ছিল ৯টা ৩৩ মিনিট। তবে এর ঘণ্টাখানেক আগেও থামেনি বৃষ্টি। স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩২ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
বাংলাদেশের রেকর্ডময় দিনে মুশফিকের দুর্দান্ত শতকে দারুণ এক ইনিংসেরই দেখা মিলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর বোলিংয়ে নামার কথা ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু তার আগেই পড়তে শুরু করে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে আইরিশ পেসারদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে। তামিম ৩১ বলে ২৩ রান করে রান আউট হলেও ক্রিজে স্থায়ী হন লিটন। সাত ইনিংস পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে সমান তিন চার ও ছক্কার মারে খেলেন ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
লিটনের বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ১৯ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে শান্ত তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। ৭৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রান করেন তিনি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও হৃদয় চড়াও হন আইরিশ বোলারদের ওপর। দুজনের জুটিতে আসে ১২৮ রান। দলীয় ৩১৮ রানে ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে আউট হন হৃদয়। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাত্র ৬০ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। যা বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অবিশ্বাস্য শতক হাঁকানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ওয়ানডে শতকের মালিকও হলেন মুশফিক। ৬০ বলে ইনিংসে ১৪টি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এর আগে, তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
মুশফিকের রেকর্ডের দিনে রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবালও। সোমবার (২০ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তামিম ছুঁয়েছেন ১৫ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মাইলফলক। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার তামিমের ধারেকাছেও নেই। ১৩ হাজারের ওপর রান আছে কেবল দুজনের-সাকিব ও মুশফিকের।