ছক্কা মারার চেষ্টার চেয়ে স্মার্ট ক্রিকেটে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার—এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এমনটাই বলেছিলেন লিটন দাস। নিজের সেই কথার বাস্তবায়ন ঘটাতেই হয়তো গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে জয় অনেকটা নাগালে না আসা পর্যন্ত ছয় মারার চেষ্টাই করলেন না।
জয় থেকে মাত্র ২০ রান দূরে থাকতে আর ব্যক্তিগত ৪২ রানে প্রথম বড় শটের চেষ্টা করলেন লিটন। ইয়াসিন মুর্তজার বলে মিড উইকেট দিয়ে স্লগ সুইপের সেই শট ছক্কাই হয়েছে। আর তাতেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছক্কার রাজা এখন লিটন।
১১১তম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন হংকংয়ের বিপক্ষে নেমেছিলেন নামের পাশে ৭৭ ছক্কা নিয়ে। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা মাহমুদউল্লাহর ছক্কাও ৭৭টি। যৌথ নামের রেকর্ডটাকে গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের একার করে নিয়েছেন লিটন। আর সেটা মাহমুদউল্লাহর চেয়ে ২১ ইনিংস কম খেলেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হওয়ার মাধ্যমে এই সংস্করণে দেশীয় গণ্ডিতে নিজের অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করলেন লিটন। আগে থেকেই টি-টোয়েন্টির আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তাঁরই দখলে। একটি সর্বোচ্চ ফিফটিতে। চলতি মাসের শুরুর দিকেই সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ফিফটি করে (৪৬ বলে ৭৩) দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ ফিফটির মালিক হন তিনি। পেছনে ফেলেন সাকিব আল হাসানকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ন্যূনতম ৮০০ রান করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তাঁর স্ট্রাইক রেটই (১২৬.২৩) সবচেয়ে বেশি।
টি-টোয়েন্টিতে দেশের আরেকটি রেকর্ডও শিগগিরই লিটনের হয়ে যেতে পারে। ১২৭ ইনিংসে ২৫৫১ রান করে সাকিবই এখন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক। গতকাল ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে লিটনের রান ২৪৯৬। ৫৬ রান করলেই পেরিয়ে যাবেন সাকিবকে।
তবে লিটন যে গতিতে ছুটছেন, তাতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা নিজের করে নিতে সময় লাগার কথা নয়। সর্বশেষ চার টি-টোয়েন্টির তিনটিতেই যে ফিফটি করেছেন (৫৪*, ১৮*, ৭৩, ৫৯)।
আর এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে গতকাল হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জেতা বাংলাদেশ দল যে এশিয়া কাপে ভালো কিছু করতে পারে, সে তো জানা কথাই।