লড়াইটা ছিল শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের, কিন্তু ম্যাচের দিকে তাকিয়েছিল বাংলাদেশ। আগেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর শ্রীলঙ্কা নিশ্চিত করে রাখলেও বাকি ছিল ‘বি’ গ্রুপ থেকে তাদের সঙ্গী হবে কারা? বাংলাদেশ নাকি আফগানিস্তান? শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে সুপার ফোরে নিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
শুক্রবার আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৮ বল হাতে রেখেই আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটহারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে পা রেখেছে শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশও পৌঁছে গেছে সুপার ফোরে, বিদায় নিতে হয়েছে আফগানিস্তানের।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
আগামী শনিবার দুবাইয়ে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বুধবার ভারত ও পরদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে লিটন দাসের দাসের দল।
লঙ্কানদের এই জয়ে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটভক্তরা আনন্দে ভাসলেও কপাল পুড়েছে আফগানিস্তানের। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন লড়াই করেও দুই ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে রশিদ খানের দল। ‘বি’ গ্রুপ থেকে বাদ পড়া আরেক দল হংকং। সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে দলটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সাদিকুল্লাহ অটল। বিশেষ করে গুরবাজ বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৮ বলে করেন ১৪ রান। ৩ বলে ১ রান করে লাইন মিস করে বোল্ড হন করিম জানাত।
এক ওভার পর আক্রমণে এসে আরেক ওপেনার আতলের উইকেটও তুলে নেন তুশারা। ১৪ বলে ১৮ রান করে লঙ্কান পেসারের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন আতল। দলীয় ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানরা। ১৬ বলে ৯ রান করে দুশমন্থ চামিরার বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন দারউইশ রাসুলি।
১২তম ওভারে দাসুন শানাকার বলে ইনসাইড এজ হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বোল্ড হলে বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। ৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার। তিন বল পর দুনিথ ভেল্লালাগেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। ২৭ বলে ২৪ রানে থামেন এ ব্যাটার।
চাপের মুহূর্তে ক্রিজে নেমে মোহাম্মদ নবির সঙ্গ নিয়ে দলকে পথ দেখান অধিনায়ক রশিদ খান। ৩৫ রানে জুটিতে পার করে দেন শতরান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে রশিদকে বোল্ড করে সে জুটি ভাঙেন তুশারা। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে দলীয় ১১৪ রানে আউট হন আফগান অধিনায়ক। পরের গল্পটা সাজান নবি একাই।
শুরুটা মাঝারি মানের হয় লঙ্কানদের। পাওয়ারপ্লেতে ৫৩ রান এলেও দুটি উইকেট হারায় দলটি। তৃতীয় ওভারে দলীয় ২২ রানে ফেরেন পাথুম নিসাঙ্কা। ষষ্ঠ ওভারে নবির শিকাক্র হয়ে ফেরেন কামিল মিশারা।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই জারি রাখেন কুশল মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেটে কুশল পেরেরার সঙ্গে ৪৫ এবং চতুর্থ উইকেটে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ে নিজ দলকে এগিয়ে রাখেন এই ওপেনার। ২০ বলে ২৮ রান করে দ্বাদশ ওভারে মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন কুশল। নুর আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে চারিথ আসালঙ্কা করেন ১২ বলে ১৭।
এ সময় ৩১ বলে ৫১ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কামিন্ডু মেন্ডিস।