সারাদেশ ডেস্ক, যশোর, এইউজেডনিউজ২৪: আগামী ১৩ ফেব্রুয়ার পহেলা বসন্ত, পরদিন ভালোবাসা দিবস। এ দুটি দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে মুখিয়ে আছে দেশের তরুণ-তরুণী, যুবকসহ সব বয়সী মানুষেরা। প্রিয়জনের ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। সেই সব মানুষের মনের খোরাক মেটাতে গদখালীতে চাষিরা এখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন। বিশেষ করে বসন্ত দিবস, ভালোবাসা দিবসে এসব ফুলের বিকল্প নেই। আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও রয়েছে এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা। তাই বছরের এ তিনটি দিবসকে ঘিরেই হয় মূল বেচাকেনা।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারার ফুলের বাগানে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। দিন রাত চলছে বাগানের পরিচর্যা। এখন ফুলের ভরা মৌসুম। এ মাসেই ধরতে হবে তিনটি উৎসব। বসন্ত, ভালোবাসা ও একুশে ফেব্রুয়ারীকে ঘিরে যশোরের ঝিকরগাছায় ফুলের বাগানের চাষিরা পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফুল বাগানের চাষিরা দিনগুনছেন শতকোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশায়।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার চাষিরা ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার ফুলের বিকিকিনি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।
জানা গেছে, এই এলাকার অনেক চাষি তাদের জমিতে ধান, পাটের চাষ চুকিয়ে সারা বছরই এখন ফুল চাষ করছেন। দেশে ফুলের মোট চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই ফুল এখন যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াতেও। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটির তথ্য মতে, এবার যশোরে পাইকারি পর্যায়ে ৭০-৮০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যশোরে প্রায় ৮-১০ হাজার ফুল চাষি ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফুল চাষের সাথে সম্পৃক্ত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় গ্যালোরিয়াস। এখানে শতকরা ৪৫ শতাংশ চাষ হয় গ্যালোরিয়াসের। রজনীগন্ধার চাষ হয় ২৫ শতাংশ, গোলাপ ২০ শতাংশ আর এখানে উৎপাদিত জারবেরা, গাঁদা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ ১২ ধরনের ফুল সারা দেশের মানুষের মন রাঙাচ্ছে এখানকার চাষিরা। সূত্র : ইউএনবি