সারাদেশ ডেস্ক, যশোর প্রতিনিধি, আজনিউজ২৪: বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে আশায় বুক বেঁধেছেন ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা। তাদের দাবি, করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বিগত বছরটাই মন্দা গেছে। ফলে আগামীতে ভালো দামে ফুল বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান তারা। বাজার ধরতে পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। অবশ্য চরম ক্ষতির শিকার ফুল সেক্টরকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তা বাড়ানোর দাবি ফুল চাষিদের।
মাঠের পর মাঠ শোভা পাচ্ছে গোলাপ আর গোলাপ। আসন্ন বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে বিশেষ কায়দায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে গোলাপের কুড়িগুলো।
চাষিদের দাবি, পুরো মৌসুমের মধ্যে এ দুটি দিবসেই ফুলের দাম বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে গোলাপের দাম স্বাভাবিক দামের থেকে ৭ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে এ দুটি বাজার ধরতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের ক্যাপ দিয়ে গোলাপের কুড়ি সংরক্ষণ শুরু করেছেন তারা। ফলে নির্ধারিত সময়ে চাহিদামতো ফুল সরবরাহ করতে প্রস্তুত তারা এবং এ ফুল বিক্রি করেই করোনা ও আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে চান ফুল চাষিরা।
শুধু গোলাপ নয় সংরক্ষণ করা হয়েছে জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল। আর এ ফুল বিক্রি করেই লাভ-লোকসানের হিসাব মিলাতে চান তারা।
এদিকে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটি সভাপতি আব্দুর রহিম বললেন, করোনা ও আম্পানে ফুল চাষিরা চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সব চাষিকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা প্রয়োজন। যশোর জেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়। আর এ ফুল বছরে ৭টি দিবসকে ঘিরে বেচাকেনা হয়।
সূত্র : সময় টিভি