বাংলা নববর্ষ বরণের শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনীর সদস্যরা। সকালে রমনা বটমূলে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উৎসব পালনের জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে যে উড়ো চিঠি এসেছে তা দেয়া হয়েছে দাজ্জাল বাহিনী নামে। এ নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনো দুষ্টু পোলাপান অতিউৎসাহী হয়ে চিরকুট লিখছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিরা নজরদারিতে রয়েছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি বাঙালি হিসেবে মনে করি, দুই-একটা বোমা দিয়ে দমন করা যাবে না। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তাদের দোসররা কামান-বন্দুক নিয়ে এই বাঙালিদের দমন করতে পারেনি। আর কোথাকার কোন জঙ্গি একটা-দুইটা বোমা মেরে আমাদের দমন করবে আমরা ওই রকম ভীতুর জাতি নয়। আমরা বীরের জাতি। কোনো জঙ্গি, কোনো শকুন আমাদের প্রতি নখ দেখাবে আমার সেই জাতি নয়। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে চারুকলা অনুষদ পশ্চিম পাশের দেয়ালে রঙের কাজ তদারকি করার সময় প্লাস্টিক চেয়ারের ওপর সাদা কাগজে ৫০ টাকার নোট পাওয়া যায়। ওই কাগজে লেখা ছিল- ‘শোভাযাত্রা কাজটা শিরকের এখানে এসে ক্ষতি করোনো তোমাদের। হামলা হতে পারে এনি টাইম ঐদিনের দাজ্জালি বাহিনী পাবেনা টের মোদের।’
এ ঘটনায় আবতাহী রহমান (২৫) নামে এক শিক্ষার্থী শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি শাহবাগ থানাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন কমিটির অর্থ ও নিরাপত্তাবিষয়ক সদস্য।