বন্যার পানিতে ১০ দিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নোয়াখালীর ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের মাধ্যমে খাদ্যসংকট কিছুটা দূর হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বিশুদ্ধ পানির অভাবে পড়েছেন বানভাসিরা। এদিকে চলমান বন্যায় বিভিন্ন জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২জনে।
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও এখনও ডুবে আছে নিন্মাঞ্চল। যার কারনে জেলার ৮টি উপজেলার ৮৭টি ইউনিয়নের ২১ লাখ ২৫ হাজার ৫শত মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। ১৩০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২লাখ ৬৪হাজার ৭৪৩জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
নোয়াখালীর চাটখিলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে। ডুবে আছে বাড়ি ঘর। বেগমগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চলে এখনও পানি বন্দী হাজার হাজার মানুষ। সেনবাগ উপজেলার ৮ নং বিজবাগ, কাজীর খিলগ্রামসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পানি বন্দি মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম শত বছরের কালভাট বন্ধ করে রাখায় বিজবাগের পুরো এলাকায় পানি বন্দি অনেকে। বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ লাগবে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সেনবাগের দুর্মগ এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রান বিতরন করছে উপজেলা জামায়াতে ইসলাম। এদিকে নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টি ও রেড ক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা বন্যার্তদের মাঝে ত্রান পৌঁছে দিচ্ছেন।