৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আজ সোমবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। দিবসটি উদযাপনে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও শোভাযাত্রারও আয়োজন করে তারা।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা ও সহসভাপতি কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহানের নেতৃত্বে জোটের নেতাকর্মীরা সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর কুমকুম, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক খ্যাতিমান অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করেন।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সম্পাদক আজাদ কবীর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশ্রাফউজ্জামান মিতু, দপ্তর সম্পাদক জয়দেব রায়, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান মিজান, রাজ সরকারসহ জোটের নেতারা।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও সাংস্কৃতিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সাংস্কৃতিককর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে পারেন একমাত্র শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার আলোতেই আমরা আলোকিত।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ১৯৭৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুম, চিত্রনায়িকা কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে সাংস্কৃতিক জোট সংগঠনের কর্মীরা প্রথম রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। সারাহ বেগম কবরী সে সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।