গবেষণা ও মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা, কর্মচারীরা।
পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা, কর্মচারীরা পরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দক্ষতার সাথে হাসপাতাল পরিচালনা, রেগীদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং এ গৌরব অর্জনে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় পরিচালক বলেন, এ অর্জন হাসপাতালে কর্মরত সকলের।
তিনি হাসপাতালে আগত রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এবং জাপান সরকারের কারিগরি সহায়তায় ১০টি কেবিন এবং ১১০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এটি দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিশেষায়িত ১২৫০ শয্যার হৃদরোগ হাসপাতাল।
এ হাসপাতালে ৪০ শয্যার করোনারি কেয়ার ইউনিট, ৫০ শয্যার অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক আইসিইউ, ১১ শয্যার ভাসকুলার আইসিইউ, ১৩ শয্যার পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক আইসিইউ, সাতটি অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক সার্জারি অপারেশন থিয়েটার, দুটি ভাসকুলার অপারেশন থিয়েটার ও একটি ইমার্জেন্সি ভাসকুলার অপারেশন থিয়েটার চালু রয়েছে সরকারি পর্যায়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক পাঁচটি প্রযুক্তি (রোটা, ওসিটি, এইচডি আইভাস, আইভিএল, টাভার) চালু করা হয়েছে।
সংযোজিত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে রিং স্থাপন করা হচ্ছে। টাভার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুক না কেটে বিশেষ ক্যাথেটারের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে অ্যাওটিক ভালভ স্থাপন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে এমডি (কার্ডিওলজি), এমডি (শিশু কার্ডিওলজি) এমএস (সিভিএনটিএস) এমএস (ভাসকুলার সার্জারি), এসিপিএস কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিওলজি এবং ডিপ্লোমা কার্ডিওলজি কোর্স চালু আছে।