পলিটিক্যাল ডেস্ক, ২১ নভেম্বর, ২০১৯, এইউজেডনিউজ২৪: বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁর সুযোগ্য কন্যা, মাদার অব হিউমেনিটি, বাংলার মানষ কন্যা জননেত্রী বাংলার জমিনের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন বর্তমান আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন।
সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে যুবলীগকে একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন।আমার প্রাণের সংগঠনের বিপদে আপদে কাজ করছি উল্লেখ করে যুবলীগের এই অভিজ্ঞ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। ২০১৪ সালে নির্বাচনকে ঘিরে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণ ও নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করেছি। রাজপথে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সাহসী প্রতিবাদে আগুন সন্ত্রাস রুখে দিতে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৬ সাল থেকে আমি যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত আছি। ফলে সারাদেশের সকল যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলের দুঃসময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন যা আমি নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছি।’
তৃণমূলের একজন কর্মী থেকে আজকে এই পর্যন্ত এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ত্যাগী বঞ্চিত যুবলীগ কর্মীদের আমি সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করব। যুবলীগ ও দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও আমি প্রস্তুত আছি। সবকিছুই আমি আমার নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তিনি আমাকে যেভাবে যেখানে দায়িত্ব দিবেন আমি মাথা পেতে নেব।’
ফারুক হোসেন আরও বলেন, ‘পারিবারিকভাবেই আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছি। স্কুল জীবন পার করার পর ফরিদপুরে ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। ১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৮১ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হই। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত টানা চার বছর এরশাদ শাসন আমলে আমি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। সেসময়ে সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংগঠিত ছিল ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ। ১৯৮৩ সালে আমি জেলে থাকা অবস্থায় নেত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত করেন এবং ১৯৮৬ সালে নেত্রীর নির্দেশেই আমি ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এবং ২০১২ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হই।’
সেইসাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে কাজ করার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমার রাজনৈতিক ইতিহাস মূল্যায়ন করে আমাকে ত্যাগী নেতা হিসেবে বিবেচনায় রেখে আগামী সম্মেলনে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যুবলীগকে একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।’