ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। এ সময় এমপির সমর্থনে কলেজ শাখা, পৌর ও উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদে অনুষ্ঠানটি ভন্ডুল হয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এতে যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি। নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারাও আসেননি।
সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বয়কটের পর কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আর প্রধানমন্ত্রী কলেজটি সরকারীকরণ করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুদানে কলেজের উন্নয়ন হলেও ব্যানারে তার ছবিও ব্যবহার করা হয়নি। এ অনুষ্ঠানের ব্যানারে তাদের ছবি না থাকায় ছাত্রলীগ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একরামুল হক তার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে দ্রুতই জাঁকজমকভাবে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।
কলেজে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করার বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, উত্তেজনা বিরাজ করলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস জানান, ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছি।