সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক, আজনিউজ২৪: ভার্চুয়ালই নাকি অ্যাকচুয়ালি? পহেলা ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। প্রকাশকরা মেলার আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও বাংলা একাডেমী এখনো দোলাচলে। সিদ্ধান্তের জন্য একাডেমী তাকিয়ে আছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দিকে।।
শুরুটা ১৯৮৪ সালে। বাংলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক কাজী মানজুরে মাওলার হাত ধরে। বাংলা একাডেমীর ছোট্ট প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া প্রাণের মেলার পরিধি বাড়ে যুগের চাহিদার সাথে। দিনে দিনে মেলার পরিধি যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে পাঠক, লেখকের সংখ্যাও। বলা চলে, মেলাকে ঘিরেই দেশের প্রকাশনা শিল্প এক শক্তিশালী ভিত্তি পায়।
বছরের পর বছর বইপ্রেমীদের চাহিদা পূরণ করে আসা মেলায় এবার বিষাদের সূর। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় মেলা আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। তবে প্রকাশকরা বলছেন, মেলা হবে আগের মতোই চিরায়ত রূপে। তবে তারিখে পরিবর্তন আসার আভাস তাদের।
এ প্রসঙ্গে জ্ঞান এবং সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ বলেন, বইমেলা ভার্চুয়ালই নয় চিরায়ত নিয়মেই হবে। তবে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে বইমেলা হবে তার একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রস্তাব বাংলা একাডেমীর কাছে জমা দেবে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক এবং বিক্রেতা সমিতি।
তবে প্রকাশকরা মেলার আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও বাংলা একাডেমী এখনো দোলাচলে। একাডেমী তাকিয়ে আছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দিকে।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, বই মেলা বাতিল করা হয় নি। মেলা স্থগিত করা হয়েছে। বাংলা একাডেমীকে অবশ্যই মেলা আয়োজনের জন্য দু মাস সময় দিতে হবে।
তবে মেলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার দিকেই থাকবে সবার নজর।
সূত্র: সময় টিভি