ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অমর একুশে বইমেলা ঘিরে বাংলা একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বইমেলার এক মাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভারী যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
অমর একুশে বইমেলা সামনে রেখে আজ শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপির কমিশনার।
আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এবারের বইমেলায় মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি। মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৭টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি থাকবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও অমর একুশে বইমেলায় পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান ডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থার অংশ হিসেবে বইমেলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বইমেলা ও আশপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা সার্বক্ষণিক তদারক করবেন পুলিশের কর্মকর্তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের বাইরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম (সিটি), র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন থাকবেন। গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করবেন। নিরাপত্তাব্যবস্থায় তারা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাতল্লাশির মধ্য দিয়ে দর্শনার্থীদের বইমেলায় প্রবেশ করতে হবে। তল্লাশিতে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে ব্যবহার করা হবে। থাকবে ম্যানুয়ালি পদ্ধতিও। বিস্ফোরকদ্রব্য, দাহ্য পদার্থ, মাদকদ্রব্য যাতে ঢুকতে না পারে, সে জন্য তল্লাশির পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড কাজে লাগানো হবে। রাতে বইমেলা এলাকায় সার্চলাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটলে তা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকে। বইমেলায় ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার’ খোলা হয়েছে। এই সেন্টারের মুঠোফোন নম্বর দেওয়া থাকবে। কোনো শিশু যদি হারিয়ে যায়, তাহলে সেন্টারের সহায়তা নিলে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করবে।
বইমেলা উপলক্ষে প্রয়োজনমতো ট্রাফিক ডাইভারশনের (যানচলাচলের বিকল্পপথ) ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান সাজ্জাত আলী। তিনি আরও বলেন, যেখানে-সেখানে হকার বসতে দেওয়া হবে না। কাউকে উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেওয়া হবে না। দর্শনার্থীদের জন্য চা-কফির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বইমেলায়। তবে কোনো অবস্থায়ই দাম বেশি নেওয়া যাবে না।