জট খুলতে শুরু করেছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের। নানা প্রশ্নের উত্তর মেলাতে এখন ব্যস্ত দুদেশের প্রশাসন। গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত করেছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল, জাহিদসহ বেশ কয়েকজন সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত।
প্রতিদিনই নতুন নতুন জট খুলছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায়। কেন হত্যা, কিভাবে হত্যা এমন নানা প্রশ্নের ধোঁয়াশায় যখন সবাই, তখন আরও একটি সিসিটিভি ভিডিও হাতে পেয়েছে গণমাধ্যম।
নিউটাউনের অভিজাত এলাকার সাঞ্জিভা গার্ডেনের ফ্ল্যাট। যেখানে ১৩ মে হত্যার শিকার হন এমপি আনার। হাতে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওইদিন দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে দুর্ধর্ষ চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়া ভেতরে ঢোকেন। এ সময় তার হাতে ছিল ব্রিফকেস।
পরের আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্ল্যাটের রুমে ঢোকেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল, জিহাদসহ তিনজন। এরই মধ্যে খণ্ডিত মরদেহ কোথায় ফেলে দেয়া হবে, একটি চিরকুটে সেটার নির্দেশ দেয়া হয়। যার ঠিকানা হাতিশালার সুবিধাজনক স্থানে।
ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল, জাহিদসহ বেশ কয়েকজন সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত।
এদিকে বাবা হত্যার বিচার চেয়েছেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার করা হোক।
এ ঘটনায় কলকাতায় গ্রেপ্তার জিহাদের বাড়ি খুলনা জেলায় হলেও, তিনি দীর্ঘদিন ভারতের মুম্বাইয়ের একটি কসাইয়ের দোকানে কাজ করেছেন। কলকাতা পুলিশের দাবি, মরদেহ খণ্ডিত করার কাজ মূলত তিনিই করেছেন।