
জ্যঁ-মার্ক সোভ ফরাসি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ শিশু নির্যাতনকারী পাদ্রী এবং অন্যান্য যাজকদের বিরুদ্ধে প্রমাণf সংগ্রহ করেছেন তারা। তিনি বলছেন, এটি হচ্ছে ন্যূনতম অনুমান।
মোট এক লাখ ১৫ হাজার পাদ্রী ও অন্য গির্জা কর্মকর্তার ব্যাপারে তদন্ত চালানো হয়। চার্চ, আদালত এবং পুলিশের দলিলপত্রের আর্কাইভে পাওয়া তথ্য এবং যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
আগামী মঙ্গলবার এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে। রিপোর্টটি হবে আড়াই হাজার পৃষ্ঠার। যৌন নির্যাতনের শিকার একজন ভুক্তভোগী বলেছেন, এর ফল হবে বোমা ফাটানোর মতো। বিভিন্ন দেশে কয়েকটি কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে ওই তদন্তের আদেশ দেয়।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদরা। আড়াই বছরের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রোমান ক্যাথলিক প্রকাশনা দ্য ট্যাবলেটের ক্রিস্টোফার ল্যাম্ব বলেছেন, এই যৌন নির্যাতন কেলেঙ্কারি ক্যাথলিক চার্চকে গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলে দিয়েছিল।
এর ধারাবাহিকতায় পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরই ক্যাথলিক চার্চের নিয়মকানুনে সংশোধনী আনেন, যাতে যৌন নিপীড়ন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন, শিশু পর্নোগ্রাফি এবং এসব ঘটনা চাপা দেবার চেষ্টাকে স্পষ্টভাবে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। সোভ ফরাসী দৈনিক লা মঁদকে বলেছেন, এই প্যানেল এমন ২২টি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ কৌঁসুলিদের হাতে তুলে দিয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে এখনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।