ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের আমলে শতাধিক মামলা মাথায় নিয়েও পিছু পা হননি বিএনপি নেতা মির্জা আনোয়ার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একজন আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে তৈরী করেন মির্জা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। শৈশব থেকে বিএনপিকে বুকে আঁকড়ে ধরে ১৯৯০ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং পূর্ব গুপ্টি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড রাজনীতি শুরু করেন।
এরপর ২০০১ সালে তেজগাঁও (বর্তমান শিল্পাঞ্চল) বিএনপি’র ওয়ার্ড কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন। ওয়ান-ইলেভেন পর ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের হুমকি-দমকি ও মামলা-হামলা উপেক্ষা করে ২০১০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের দপ্তর সম্পাদক ( সোলেমান-রিয়াদ কমিটি) হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী শুরু করে বিএনপি’র এই নেতার উপর নির্যাতন নিপীড়ন। একই সঙ্গে আনোয়ারের বাসভবন থেকে শুরু করে পরিবারের চালায় দফায় দফায় হামলা। এমনকি গত ২০২০ সালের নভেম্বর রাত দেড়টায় বিএনপি’র এই নেতার প্রতিবন্ধী ছেলে মির্জা মোহাম্মদ রাকীব হোসেনকে (২৫) ঘুম থেকে উঠিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। আনোয়ারের স্ত্রী ও মেয়ে’র হামলা, লুটপাট তাণ্ডব চালায় ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। তারপরও এক মিনিটের জন্য পিছুপা হয়নি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ত্যাগী এই বিএনপি নেতা।
মির্জা আনোয়ারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে সিনিয়র নেতারা তাকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি’র ২৪ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম-সম্পাদক করেন।
মির্জা আনোয়ার আজ নিউজকে জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি গত ১৭ বছরে ১২৭টিরও অধিক মামলা খেয়েছেন। এ সব মিথ্যা সাজানো মামলায় তিনি বারবার জেলও খেটেছেন।
নিরঅহঙ্কারীসাদা মনের মানুষ ত্যাগী নেতা মির্জা আনোয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে সরাসরি রাজপথের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। মির্জা আনোয়ার আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও বিএনপি কর্মীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এ সময় বিএনপি’র এই নেতা কিছু মামলার কপি ও ভিডিও দেখিয়ে বলেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার তাকে মামলা দিয়ে বহুবার হয়রানি করেছে, সে তাকে ঘরে ঘুমাতে দেয়নি, ঠিক মতো ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছরের রাজনীতিতে সে কখনো কারো সাথে আপোস করে নি।
জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজপথে ছিলেন। তিনি ‘৩৬ জুলাই বিপ্লবে’ শতাধিক মামলা মাথা নিয়ে ছাত্রদেরকে বিভিন্ন পানিসহ খাবার স্যালাইন দিয়ে হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনকে সহযোগিতা করেন।