ফ্যাসিবাদ যেন পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৯ জুলাই) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই সভার আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কোনো আবেগতাড়িত ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে দেশবাসীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো একটি অংশের সহায়তায় কেউ কেউ দেশে উদ্দেশ্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কি না- এ বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা রয়েছে। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে দেশে এমন এক নির্বাচনী ব্যবস্থা থাকা জরুরি, যেখানে প্রতিটি ভোটার নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। দেশে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে আমাদের কোনো আয়োজনই কিন্তু কাজে আসবে না, টেকসই হবে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও স্বচ্ছ ও সাহসী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণ আপনাদের (সরকার) পাশে থাকবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পাশে থাকবে, যদি আপনাদের ভূমিকা আরও স্বচ্ছ এবং সাহসী হয়।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালের শহিদরাও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। গণঅভ্যুত্থানে শহিদরা জাতির গৌরব। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো সম্ভব। আর তা শুরু হবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
স্মরণসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।