ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ যাতে আবারও ফিরে আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনক নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ যে গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেই প্রত্যাশা করছি। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ডা. শাহাদাতের বিজয় হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, সরকার শুধুই কেয়ারটেকার সরকার না, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নিহত-আহতদের আমানত। এই সরকার রুটিন কেয়ারটেকার সরকার নয়, আন্দোলনের পর বিশেষ প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে এই সরকার। তাই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে যারা মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করবেন। সিটি করপোরেশনগুলোতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। বর্তমান চট্টগ্রামের মেয়রের মেয়াদ আইন অনুযায়ী যেটা হবে, ততদিন তিনি দায়িত্বে থাকবেন।
এ সময় নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবো। যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প হাতে নেওয়ার চেষ্টা করবো। ইশতেহার পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা হবে।