ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের বিগত ১৭ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চাঁদপুর জেলা সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল। যদিও এর কোনো একক সভাপতি নেই। ইসকন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এর বিভিন্ন কেন্দ্র বিভিন্ন পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। সাধারণত, প্রত্যেকটি কেন্দ্রের একজন করে পরিচালক বা প্রধান থাকেন। বিশ্বব্যাপী ইসকনের কার্যক্রম “গ্লোবাল সোসাইটি” দ্বারা পরিচালিত হয়, যার একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। তবে, কোনো একক সভাপতি নেই যিনি পুরো সংস্থার নেতৃত্ব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ডা. পরশ চন্দ্র পাল নিজেকে ধার্মিক গুরু হিসেবে পুঁজি করে বিভিন্ন সময়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অপকর্ম। এছাড়া ফরিদগঞ্জে তিনি হাসপাতাল ব্যবসার আড়ালে রীতিমতো চালিয়ে যাচ্ছেন গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০০৮ সালের আগে তিনি কর্মরত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে,সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০০৮ সালের আগে ফরিদগঞ্জ বাজারে পলাশ ভিলা নামে উনার স্ত্রীর মালিকানাধীন ২য় তলা বৈশিষ্ট্য একটি ভবন ছিলো ২০০৮ পরবর্তী সময়ে ওই ভবনের সম্মুখে আরো একটি ৫ম তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেন, ২০০৮ -২০২৪ মাত্র ১৬ বছরে বর্তমানে উনি প্রায় ৫০ টাকারও উপরে সম্পদের মালিক হয়েছেন।
ফরিদগঞ্জে সদরে ২২ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল ভবনের মালিক তিনি নিজেই এবং হাসপাতালে একক আধিপত্য খাটানোর জন্য ৫০% এর বেশি শেয়ার তার নিজের নামেই নিয়েছেন,অভিযোগ রয়েছে এই হাসপাতালে নার্স ও গাইনি বিশেষ ডাক্তারদের যৌন হয়রানি করা হয়।
নাম কাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স ও নারী স্টাফরা জানান ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে পলাশ ও হাসপাতালের শাহাবুদ্দিনসহ কিছুলোক তাদেরকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। বিনা প্রয়োজনে গাইনি ডাক্তার, নার্স ও নারী স্টাফদের পার্সোনাল মেয়ে ডেকে নিয়ে যান পরেশ চন্দ্র পালের ছেলে সুইডেনের নাগরিকত্ব পাওয়ায় পলাশ চন্দ্র পাল। এ কারণে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়ে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন অনেক নারী স্টাফরা। (ভিডিও রেকোর্ডধারণ কৃত আছে) পলাশ চন্দ্র পাল চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত খারাপ চরিত্রের একজন মানুষ। অভিযোগ রয়েছে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও তাকে নিয়ে পুনরায় রাত কাটান,এবং অন্যত্রে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
জানা যায়, ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পাল নিজের অপকর্ম ঢাকতে গত ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মোটা অংকের টাকা ছিঁটাতেন। বিগত সময়গুলোতে ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের দেওয়া টাকা দিয়ে জামাত- বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যে মামলা হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অর্থের প্রভাব খাটিয়ে গায়ের জোরে পদ-পদবী হাতিয়ে নেন বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মীয় উপসনালয়ের কমিটিতে। ফরিদগঞ্জ থানা মন্দিরে অনিয়ম ও র্নীতির কথা তুলে ধরে পরেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার নিউজের কপি প্রকাশ এবং তা তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছেন জনৈক উৎপল সাহা। তার স্ত্রী পেশায় নার্স হলেও অবৈধ গর্ভপাত ও নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে অনেক নবজাতকের মৃত্যু ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়। যেকোনো অপকর্ম স্থানীয়ভাবে অর্থের বিনিময়ে সমাধান করে পেলতেন ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল।
এ হাসপাতালটির অনিয়ম র্নীতি নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে তদবির করে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাসপাতাল থেকে চাকরি ছেড়ে দেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে ডাক্তার পরেশ চন্দ্র পালের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।