ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি বাসের ধাক্কায় আরেকটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়েছে। এতে এক শিশু ও এক নারী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বসদরদী এলাকায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম শামসুন্নাহার বেগম (৪০)। তিনি বরিশালের উজিরপুরের বাসিন্দা পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্ত্রী। নিহত শিশুর নাম রাবেয়া (৮)। সে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোডা গ্রামের বাসিন্দা হানিফ গাজীর মেয়ে। শামসুন্নাহার দুর্ঘটনাস্থলে মারা যান। শিশু রাবেয়ার চাচা ফিরোজ গাজী জানান, এ দুর্ঘটনায় তাঁর ভাতিজি রাবেয়া গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বেলা দুইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরোলাইন পরিবহনের একটি বাস শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসকে অতিক্রম (ওভারটেক) করছিল। এ সময় শ্যামলী পরিবহনের বাসের ধাক্কায় ওই বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। পরে হতাহত ব্যক্তিদের দ্রুত ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জন আহত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেকার দিয়ে তোলার জন্য কিছু সময় ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। শ্যামলী পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।