ফরিদগঞ্জে সারাদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে চরম হতাশায় ভুগছেন মৎস্যচাষীরা। রবিবার রাত থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত
টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । মাছের ঘের, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বসতবাড়ী, কৃষি আবাদ,পোল্টি খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে লাখো মানুষ। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষসহ মৎস্য চাষীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। বড় বড় মাছের ঘের গুলো জাল দিয়ে মাছ ধরে রাখার চেষ্টা করছে মৎষ্য চাষীরা।
পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামের মৎস্যচাষী জাকির হোসেন, চরবসন্ত এলাকার মৎস্যচাষী নাজিম উদ্দিন, সাইদ হোসেন, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মৎস্যচাষী সোহেল বেপারী, রূপসা উত্তর আনোয়ার হোসেন, পাইকপাড়া দক্ষিণের সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মৎস্যচাষী জানান, তারা লক্ষ লক্ষ টাকা পুজি বিনিয়োগ করেছেন মাছ চাষে। সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ দ্রæত ¯øইচগেইট দিয়ে পানি না সরালে তাদের মাছ ভেসে যাবে।
সিএনজি চালক হাবিবুর রহমান বলেন, গত দুইদিন বৃষ্টি হওয়ার কারনে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। সোমবার বিকেলে বের হয়েছি, সড়কে যাত্রী নেই। পরিবার নিয়ে বিপাকে পরেছি।
পৌর এলাকার নিউ আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। পৌর এলাকায় পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামছে না। তাই ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
মানিক ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম’র পরিচালক এফএ মানিক হোসেন বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পানি প্লাবিত হয়েছে, এতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মর্কতা বেলায়েত হোসেন জানান, তারা প্রতিনিয়ত মৎস্যচাষীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন। বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। সেচপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, যাতে পানি সনরানোর ব্যবস্থা করা
ফরিদগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে মৎস্যচাষীরা: পৌর এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা
আনিছুর রহমান সুজন ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
ছবি
4,565 Views