বিনোদন ডেস্ক: একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল সৈনিকের মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসংগীতকে জনপ্রিয় তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে, একুশে পদকপ্রাপ্ত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তার গান তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেমের নবজাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
রাষ্ট্রপতি ফকির আলমগীরের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হার মানেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে গত চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন এই শিল্পী। শুক্রবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজিব জানান।
ফকির আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার ডান ফুসফুসের ক্রমশ উন্নতি হলেও বাঁ ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে শুক্রবার। পাশাপাশি রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় শঙ্কিত ছিলেন চিকিৎসকরা। তার মধ্যেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হলে সব আশা শেষ হয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও গত ১৪ জুলাই এই সংগীত শিল্পীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে পরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সেখান থেকে তার আর বাসায় ফেরা হল না।