মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ এবং দপ্তরের বিভিন্ন বিষয় থেকে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী সময়ের ব্যবধানে এখন বিএনপির পরিবারের সন্তান দাবী করে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। নিজের অপকর্মে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী সমর্থন না করলেই তাকে বদলী ও হয়রানির করার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
গণঅভ্যুত্থানের সাফল্যের পেছনে এক ‘আড্ডা’গণঅভ্যুত্থানের সাফল্যের পেছনে এক ‘আড্ডা’
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী প্রকল্প (এলডিডিপি) আওতায় উপজেলা পর্যায়ে পিজি ও নন পিজি খামারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা বিগত ১৪-১২-২০২৩ তারিখে ৪৫৩৮ স্বারকের মাধ্যমে বরাদ্ধ আসে। এতে মোট প্রশিক্ষণার্থী ছিল ৯টি ইউনিয়ন থেকে ৪৪০ জন। মোট বরাদ্ধ ছিল ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা । এতে প্রশিক্ষর্ণার্থীদের প্রশিক্ষণ বাবদ সম্মানী ১ হাজার টাকা করে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। মোট ২ দিন প্রশিক্ষণ করার কথা থাকলেও ১ দিনে সীমিত আকারে সম্পন্ন করেন। এতে নাস্তা ও দুপুরে খাবার বাবদ বরাদ্ধ ছিল প্রতিজন ১ হাজার টাকা করে মোট ৪ লক্ষ ৪০ হাজার। কিন্তু ১৬০ টাকায় নিন্ম মানের এক বেলা খাবার দেন। বরাদ্ধের চেয়ে খাবার বাবদ তিনি ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রশিক্ষণে ব্যাগ, প্যাড, কলম, বাবদ জন প্রতি ৭০০ টাকা বরাদ্ধ থাকলে খরচ করেন মাত্র ১৬০ টাকা করে। এতে সরঞ্জাম বাবাদ ২ লক্ষ ৪২ হাজার আত্মসাৎ করেন। প্রশিক্ষণে মোট ১১ টি গ্রুপে ২ দিনে ২২ টি ক্লাস বরাদ্ধ ছিল। প্রতি ব্যাচে বরাদ্ধ ছিল ২০ হাজার টাকা করে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এখানেও নয় ছয় করে পিজি ও নন পিজি প্রশিক্ষণেই ভুয়া বিল ভাউচার করে তিনি ৭ লক্ষ টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন।
পিজি ও নন পিজি প্রশিক্ষণার্থী সাকিল আহমেদ বলেন, দুই দিনের প্রশিক্ষণ থাকলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একদিনেই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। খাবার ও দেওয়া হয় নিম্নমানের।
সাটুরিয়া পিজি গ্রুপের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণে ভিন্ন জেলায় নেবার কথা থাকলেও অফিস থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গল্প গোজব করে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। বরাদ্দের সম্মানী ৫ শত টাকা দিলেও ভ্রমণ যাতায়াত ও দুপরের খাবারের টাকা তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন।