স্পোর্টস ডেস্ক: পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। ১১ জুলাই নিজেদের দশম শিরোপার লক্ষ্যে ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা অথবা কলম্বিয়া। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট এই নিয়ে চলতি আসরে দ্বিতীয়বারের মতো একে অন্যের মুখোমুখি। গ্রুপ পর্বের দেখায় নেইমারের অ্যাসিস্টে মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতার গোলে হেসেখেলে জিতেছে ব্রাজিল। সেমিফাইনালে তাই পেরুর বিপক্ষে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নামে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ৪-২-৩-১ ফরমেসশনে একাদশ সাজান তিতে। তাতে প্রথম থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের হাতে। ৮ মিনিটের মাথায় এসেছিল প্রথম সুযোগ, পাকেতার রক্ষণচেরা পাস বক্সে রিচার্লিসনকে খুঁজে নিলে তিনি দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিভ্রান্ত করেন গোলরক্ষক গালেসেকে। ১৩ মিনিটের মাথায় ক্যাসেমিরোর জোরালো শট গালেসে রুখে দিলেও বল গিয়ে পড়ে সামনেই থাকা এভারটনের পায়ে। ডিফেন্ডার রামোস দ্রুততার সাথে বল সরিয়ে দিলে সেই যাত্রায় বিপদ ঘটেনি।
অপেক্ষার পালা শেষ হয় ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে। পেরুর রক্ষণভাগের সঙ্গে একরকম ছেলেখেলা করেই ডিবক্সের বাঁদিকে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে যান নেইমার। তিনজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেও উদ্যমী নেইমারের পা থেকে বল কেড়ে নিতে পারেননি। উল্টো নেইমার কাটব্যাক করে বল পাঠিয়ে দেন মাঝখানে অপেক্ষা করতে থাকা মিডফিল্ডার পাকেতার দিকে। নেইমারের দিকে এগিয়ে যাওয়া গোলকিপার পেদ্রো গালেসের ফাঁকা গোলপোস্টে বল ঠেলে দিতে সমস্যা হয়নি পাকেতার। বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ১-০ করে ফেলেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আক্রমণ করেছে পেরুও। ছোট ছোট পাসে বেশ কয়েকবার ব্রাজিল রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল পেরু। তবে মার্কুইনোস-সিলভাদের জমাট রক্ষণের সামনে তা যথেষ্ট ছিল না। শেষমেশ ১-০ স্কোরলাইনেই ম্যাচ শেষ হয়।
সেমিফাইনালে ম্যাচসেরা ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় নেইমার। এই নিয়ে সেলেসাওদের হয়ে ১১০ ম্যাচ খেলে ৬৮ গোল করার পাশাপাশি ৪৯ অ্যাসিস্ট সম্পূর্ণ নেইমারের। অর্থাৎ ১১০ ম্যাচ খেলেই ১১৭ বার হয় গোল করেছেন, নয়তো গোল করায় সহায়তা করেছেন। নেইমারের এই ফর্ম তিতেকে আশ্বস্ত করলেও মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে দলের অন্য ফরোয়ার্ডদের গোলখরা। ফাইনালে এই গোলখরা কাটাতে না পারলে ঘরের মাঠে কোন দূর্ঘটনার জন্ম দিয়ে বসতে পারে ৯ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা।