নাসা সম্প্রতি ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ নামে একটি নতুন গ্রহাণু আবিষ্কার করেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহাণুটি ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং ২০৩২ সালে পৃথিবীর কয়েকটি স্থানের একটিতে আঘাত হানতে পারে। যার ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশও।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ নামের নতুন এই গ্রহাণুটি প্রথমবার বিজ্ঞানীদের নজরে আসে ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর। তবে, এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে কম। তবুও বিজ্ঞানীরা এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করছেন না।
গ্রহাণুটির আনুমানিক আকার ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট চওড়া, যা অত্যন্ত বিশাল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসার আগেই মাঝপথে বিস্ফোরিত হতে পারে। এই বিস্ফোরণে প্রায় ৮ মেগাটন টিএনটির সমান শক্তি নির্গত হবে, যা একটি শহরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এ কারণে বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘সিটি-কিলার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যদি এই গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে এটি একটি পুরো শহর ধ্বংস করে দিতে পারে। এই রিস্ক করিডরে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সুদান, নাইজেরিয়া ইত্যাদি অঞ্চলগুলো।
তবে নাসা আশাবাদী যে, এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তু আগেও পৃথিবীর জন্য হুমকি তৈরি করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলো কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ‘২০২৪ওয়াইআর৪’ গ্রহাণুটিকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্টেরয়েড ওয়ার্নিং নেটওয়ার্ক’-এর টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এরপর এটি দৃষ্টির বাইরে চলে যাবে এবং ২০২৮ সালে আবার দেখা যাবে।