রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের সবাইকে আজ রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, গোয়ালন্দ উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের আফজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ১ নম্বর দিরাজতুল্লা মৃধাপাড়ার মৃত আক্কাস মৃধার ছেলে উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুদ মৃধা, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের লাল মিয়া মৃধার ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দেওয়ানপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক ওরফে জনি ও গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া গ্রামের কাজি আরিফের ছেলে কাজী অপু।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার পর শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ দুপুরের দিকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থীভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়ি। উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এই হামলায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তবে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।