আইন ও আদালত ডেস্ক: ভারতে পি কে হালদারের অর্থপাচারের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তা বাজেয়াপ্তে দেশটির সরকারের সহযোগিতা নেয়া হবে।
শনিবার (১৪ মে) সকালে এ কথা জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী।
হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে এখন পলাতক পি কে হালদার। আত্মসাৎ করা বিপুল পরিমাণ সেই অর্থ-সম্পদের হদিস মিলতে শুরু করেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতে এ অভিযান চালাচ্ছে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা ইউনিট ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ইডি।
আরও পড়ুন: পি কে হালদার গ্রেপ্তার (ভিডিও)
শুক্রবারের (১৩ মে) এমন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গে যে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মেলে, তা পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার সহযোগীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দিনভর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত ১০টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
পরে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাটে দু’টি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার অবৈধ সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ভারতের এই সংস্থা।
জানা যায়, পছন্দের সম্পত্তি বাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠতো সুকুমারের বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের এমন ৯টি বাড়িতে অভিযান শেষে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ভারতে পি কে হালদারের অর্থপাচারের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। দুদক আইনজীবী আরও জানান, পাচার হওয়া অর্থে ভারতে সম্পদ কেনার ঘটনা প্রমাণিত হলে দেশের আদালত নির্দেশনা নিয়ে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ভারত সরকারের সহযোগিতা নেয়া যাবে।