২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এখন থেকে প্রতি বছর পালিত হতে যাওয়া এই দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত হবে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ দিবস ঘোষণা করা হয়। উপসচিব তানিয়া আফরোজ ওই পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং তবে সরকারি ছুটি ব্যতীত জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের জন্য ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ওই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তির দাবির পাশাপাশি এই দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানান।
এতে তারা বলেন, বিপথগামী বিডিআর জোয়ান কর্তৃক ২৫ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত উক্ত অপরাধের চাক্ষুষ সাক্ষী আমরা শহীদ পরিবার, বেঁচে ফেরা আফিসারগণ এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সারা পৃথিবী অবলকোন করেছে।
সেদিন পিলখানায় প্রায় ৫ হাজার বি ডি আর সদস্য এবং ৪ হাজারের মতো অস্ত্র মজুদ ছিল, বিডিআর জওয়ানরা আধা ঘণ্টার মধ্য অস্ত্রাগার লুট করে সকল অস্ত্র বের করে নেয় এবং সরাসরি কার্নেজে ব্যবহার করে। সেদিন শুধুমাত্র পিলখানায় বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছে তা নয়, বিপথগামী বি ডি আর সৈনিক কর্তৃক উস্কানির মাধ্যমে সারা দেশের রাইফেল ব্যটালিয়ান ও ট্রেনিং সেন্টারে বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে এক দিনে ৫৭ জন বিডিআর তথা সেনা অফিসার হত্যার নজীর নাই। তাই ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার জন্য শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।