স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ঘটে যাওয়া সহিংসতা তদন্তে শিগগিরই একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যা আগামীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সভায় জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারীর উসকানিতে পাহাড়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা করছে তারা। গুজবে কান দিয়ে কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে আঘাত করা হলে, কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য সর্বোচ্চ কঠোর হতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। এ ছাড়া সহিংসতায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেন।’
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান বলেন, ‘একটি তুচ্ছ ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে বড় সহিংতায় রূপান্তর করা হয়েছে। কেউ চুরি করলে তাকে বিচারবহির্ভূতভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলাও অনেক বড় অপরাধ।’ তবে যাই ঘটুক না কেন, পাহাড়ে সব সম্প্রদায় যেন একসঙ্গে একই ছাতার নিচে থাকতে পারে, সেই বিষয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘উসকানি ও গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনা যেন ম্লান না হয়। আর এ জন্য পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।’