ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরুকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে । নানা বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে প্রবল রাজনৈতিক সংকটে মিয়ানমার। এ অবস্থায় শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ ১২টি দেশ আলাদা বিবৃতি দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে বিপুল ভোট জয়ের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় আসেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)। এরপরই ফলাফল নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তোলে সামরিক বাহিনী। তবে সামরিক বাহিনী এক মুখপাত্র সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থানকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ৮ নভেম্বরের ওই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের অভিযোগ আমলে না নিলে বাহিনীর পক্ষ থেকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হুমকির মধ্যেই সম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
দেশটির বিভিন্ন সূত্রে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আগামী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সূ চি সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। ২০১১ সালে দীর্ঘ ৫০ বছরের সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরে মিয়ানমার। কিন্তু দেশটির সংসদে ২৫ শতাংশ সেনাবাহিনীর হাতে থাকে।