ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, আজনিউজ২৪: পারস্য উপসাগরে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বি-৫২ স্ট্র্যাটোফোর্ট্রেস যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনী করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন বিমান বাহিনী প্রদশর্নীর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যে কোনো জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম’, এ মিশনের জানান দিতে বুধবার লুইজিয়ানার বার্কসডালে বিমানঘাঁটি থেকে বি-৫২ যুদ্ধবিমান অনবরত উড়ছে। জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার এক সপ্তাহ পরই এমন ঘটনা ঘটল। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রদর্শনীর সময় মার্কিন যুদ্ধবিমানকে পাহারায় যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নৌ, সামুদ্রিক সেনারা এবং সৌদি যুদ্ধবিমান।
শনিবার টুইটে একাধিক বার্তা পোস্ট করে ইউএস আর্মি সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে প্রদর্শনীর সময় যুক্তরাষ্ট্রের দুটি পরমাণু বোমাবাহী যুদ্ধবিমানের সঙ্গে আরও চারটি মার্কিন এবং সৌদি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। অংশীদারিত্ব শক্তিশালীর পাশপাশি সম্ভাব্য আগ্রাসন মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির, বিমান সক্ষমতা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় মোতায়েন সক্ষম, এটা জানানোও প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল।
বিবৃতিতে প্রদর্শনীর কারণে ইরানের নাম উল্লেখ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে ইঙ্গিত করে এ মহড়া। বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে দু’দেশের সম্পর্ক অব্যহতভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে ২০১৫ সালে সই হওয়া ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। অতীতে প্রত্যাহার করা সব নিষেধাজ্ঞা দেশটির উপর আরোপ করে। সেইসঙ্গে চাপিয়ে দেয় নতুন নতুন বিধিনিষেধ। ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে দেয়ারও ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন। ২০২০ সালে জানুয়ারিতে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে। এরপরই দু’পক্ষের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
ইরানের প্রতি বাইডেন প্রশাসন এ পর্যন্ত পূর্বের মার্কিন প্রশাসনের আচরণের উল্টোটাই দেখিয়েছে। অব্যাহতভাবে ইঙ্গিতি দিয়েছে চুক্তি ফেরার। তবে, বুধবারের প্রদর্শনীর মাধ্যমে, যুক্তরাষ্ট্র জানান দিয়েছে আর যাই হোক বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না তারা।
এর আগে ইরান বাইডেন প্রশাসনকে চুক্তিতে ফেরার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্পের আমলে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর তেহরান ইউরেনিয়াম মজুদের সীমাবদ্ধতাসহ চুক্তির অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে বলেও জানায় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি প্রশাসন।