ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পারস্পারিক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে আলোচনাও শুরু ইসরায়েল ও তুরস্ক। সেই সাথে সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে একে অপরের চিরশত্রু এই দুদেশ।
এরই পরিপ্রক্ষিতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজোগের সঙ্গে বিরল এক ফোনালাপ করেছেন এরদোগান। সে ফোনালাপ ফলপ্রসূ ছিল বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের বিকল্প নেই।
দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সংকট সমাধানে সমঝোতার উদ্দেশ্যে আলোচনা হলে মতবিরোধ কমানো সম্ভব বলে মনে করে আঙ্কারা। আঞ্চলিক শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সাংস্কৃতিক সহাবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এরদোগান জোর দিয়েছেন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সম্পর্কোন্নয়ন এবং শান্তি-প্রক্রিয়া শুরুর ওপর।
তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে তা ‘দুই পক্ষের জন্য সমান লাভজনক’ হতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
এদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতেও আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে জানিয়ে দুই নেতার যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তেল আবিব।
দুই নেতার ফোনালাপের আগে তুরস্কে গুপ্তচর সন্দেহে আটক এক দম্পতিকে মুক্তি দেয়া হয়। তাদের মুক্তির প্রতিক্রিয়ায় এরদোগানের সঙ্গে তখন ফোনে কথা বলেছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও।
২০১৩ সালের পর এটি ছিল তুরস্ক ও ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রথম কথোপকথন। ফিলিস্তিনের সরব সমর্থক তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েল সন্ত্রাসী আচরণ চাপিয়ে দিচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ করেন তিনি।