ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
নির্বাচন শেষে সরকার গঠনের পথে পাকিস্তান। ভোটে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। নির্বাচনে সবাইকে ছাড়িয়ে ৯৭ আসন পেয়েছে দলটির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পিটিআইয়ের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবপ্রদেশে জোট সরকার গঠনে একমত হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। এমন ফল মানতে পারছেন না পিটিআই সমর্থকরা। পেশোয়ারে ভোটের ফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন তারা। বের করেছে বিশাল মিছিল। খবর এএফপির।
পেশোয়ারে রিটার্নিং অফিসারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভরত ২৮ বছর বয়সি দোকানদার মুহাম্মদ সেলিম এএফপিকে জানিয়েছেন, আমাদের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে। সব ভোট পুনঃগণনা করতে হবে।
১৯ বছর বয়সি রাস্তার ফেরিওয়ালা মোহাম্মদ জুবায়ের বলেছেন, আমরা পিএমএল-এনের জয় মেনে নেব না। সবাই জানে ইমরান খানের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কতটি আসনে জয়ী হয়েছেন। আমাদের কাছে প্রতীক, পতাকা বা ব্যানার নেই তবু আমরা মাঠে জিতেছি।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন।
প্রথম দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৩ ঘণ্টা পরও অধিকাংশ কেন্দ্রে ফল ঘোষণা শুরু হয়নি। ভোট গণনায় এমন বিলম্বকে অস্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনের পর দিন শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত মাত্র ১২ আসনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আসন থেকে ফল আসতে থাকে। তবে বেলা গড়িয়ে রাত পার হলেও সব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি।
এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে এখনো অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে পিছিয়ে থাকলেও জোট করে সরকার গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি। দল দুটি নির্বাচনে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।