ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আগামীকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট হতে যাচ্ছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্পিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরা। এরআগে, অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীতার জন্য নমিনেশনপত্র পূরণ করে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১১টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এতে চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে পাকিস্তান।
কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
ইমরান খানের পতন হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানান সদ্য স্পিকারের আসনে বসা আয়াজ সাদিক। ধারণা করা হচ্ছে এই শাহবাজই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হলো মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।