ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
পাকিস্তানে নির্বাচনে এ পর্যন্ত যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। এ পরিস্থিতিতে জোট সরকার গড়তে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে ইমরান খানের দল এ নির্বাচন অংশ নিতে না পারলেও তার দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেছেন। আর তাতেই ইমরানের দল বাজিমাত করেছে। নির্বাচনে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ইমরান খানের সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ। তবে পিটিআই ও পিএমএল-এন দুই দলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে।
এ পরিস্থিতিতে জোট গড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরিফ।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তার বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এন-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। এ সময় শাহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে’ পিপিপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে এই বৈঠক হয়। বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজের খবরে বলা হয়, বিলাওয়াল ও আসিফ জারদারির সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠকে জোট বেঁধে কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৪৫ মিনিট ধরে চলে ওই বৈঠক। বৈঠকে কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে দুই দলের নেতারা অবিলম্বে আলোচনায় বসবেন বলেও সম্মত হয়েছেন শাহবাজ ও জারদারি।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। ফলে ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। এককভাবে সরকার গঠন করতে কোনো দলকে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সর্বশেষ ফল অনুযায়ী, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের বেশির ভাগই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন। এরপর পিএমএল-এন ৭১টি, পিপিপি ৫৩টি এবং এমকিউএম ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।