ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : পাকিস্তান সীমান্তের জঙ্গি ঘাঁটিতে বড় হামলা চালিয়েছে ভারত। সীমান্ত পেরিয়ে নয়, নিয়ন্ত্রণরেখার অভ্যন্তরে থেকেই হামলা চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনারা। টংধর সেক্টরের ওপারে নীলম ভ্যালিতে জঙ্গিদের তিনটি লঞ্চ প্যাড গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও অবনতি হয়েছে।
ইসলামাবাদে ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠাল পাকিস্তান। ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রওয়ত জানিয়েছেন, তিনটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এতে পাকিস্তানের ৭ থেকে ১০ সেনা সদস্য মারা গেছে।
শনিবার রাত থেকেই জম্মুর কুপওয়ারা জেলার টংধর সেক্টরে গোলাগুলি বিনিময়। প্রথমে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলা ছুঁড়তে শুরু করে পাক সেনা। জবাবে ভারতও ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। পাক সেনার গুলিতে দুই ভারতীয় সেনা জওয়ান ও এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই আরও জোরালো আক্রমণ শুরু করে ভারত। কামান, মর্টার দিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম ভ্যালিতে চার-পাঁচটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। অন্তত পাঁচ পাক সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর পেয়েছে ভারতীয় সেনা। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, জঙ্গি ও সেনা জওয়ান মিলিয়ে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।
এ দিন সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বিপিন রওয়ত জানান, ‘গতকাল রাতে টংধর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। আমরা বাধা দিই। তাপর আমাদের পোস্ট লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালায় পাকিস্তান। তাতে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ভারতে ঢুকতে পারেনি জঙ্গিরা।’
গুলি বিনিময়ের পরেই একদিকে যেমন নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বেড়েছে, তেমনই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও আরো অবনতি হয়েছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূত গৌরব অহলুওয়ালিয়াকে ডেকে পাঠায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে সীমান্তের উত্তেজনার কথা জানানো হয়েছে উপ-রাষ্ট্রদূতকে।
এদিকে পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ঘটনার পরেই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। গোটা পরিস্থিতির খবর নেন তিনি। একই সঙ্গে প্রতি মুহূর্তের আপডেট তাঁকে জানানোর জন্য সেনা প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ।