ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: পাকিস্তানের পাইলটদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালান বলে জানিয়েছেন দেশটির এভিয়েশন মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার। বুধবার পার্লামেন্টে তিনি জানান ২৬২ জন পাইলট নিজেরা পরীক্ষা না দিয়েই লাইসেন্স পেয়েছেন। তাদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে অন্য কেউ। তাদের বিমান পরিচালনার কোনও অভিজ্ঞতাও নেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত মাসে করাচিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পাকিস্তানের এভিয়েশন মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান বুধবান পার্লামেন্টে জানান, পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মধ্যে ভুল যোগাযোগের কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে ৯৭ জন নিহত হয়। মন্ত্রী জানান, তারা নিয়ম অনুসরণে ব্যর্থ হয়। এর পরিবর্তে তারা করোনাভাইরাসের মহামারি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
পার্লামেন্টে গুলাম সারওয়ার জানান অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থার জন্য পাকিস্তানে ৮৬০ জন সক্রিয় পাইলট রয়েছেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেধা অবমূল্যায়ন করা করা হয়েছে। তিনি জানান, পিআইএ’র অন্তত চার পাইলটের ঘোষিত ডিগ্রিও ভুয়া বলে জানা গেছে।
মন্ত্রীর ঘোষণার পর ভুয়া লাইসেন্সধারী সব পাইলটকে অব্যাহতি দিয়েছে পিআইএ। গুলাম সারওয়ার জানান, ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহারের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ৫৪ পাইলটকে ইতোমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কয়েক জন পাইলট এসব নোটিশ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে। আর এখন পর্যন্ত নয় পাইলট তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে।