পঞ্চগড়ে আগাম শীত অনুভূত হচ্ছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলা শীত প্রবণ হওয়ায় এরইমধ্যে বইতে শুরু করেছে পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাস। দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পরদিন ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। আগাম শীত অনুভূত হওয়ার ফলে তাপমাত্রা কমছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
ঋতু বৈচিত্র্যর এদেশে শীত আসতে আরও কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকলেও পঞ্চগড়ে বইতে শুরু করেছে মাতাল করা শীতবাতাস। উত্তরের এ জেলা হিমালয়ের কাছাকাছি হাওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শীতের দেখা মিলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশাছন্ন ভোরে জমে থাকা স্বচ্ছ শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে আগাম শীতের বার্তা।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবারের মতো এবারও আগে আগে শীত নেমেছে। গরম কাপড় ও কাঁথা ছাড়া রাতে ঘুমাতে পারছে না তারা।
স্থানীয় ইউসুফ আলী সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। অনেক সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বের হতে হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সকালে ঠান্ডা নেমে যাওয়ায় কাজে যেতে একটু সমস্যা হচ্ছে।’
জমির উদ্দীন নামে আরেকজন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা নামছে। আর এই সময়ে গরম কাপড় পড়তে হচ্ছে। তবে রাত ও সকালে ঠান্ডা করলেও দিনের বেলা গরম পড়ছে।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে এ জেলায় গড় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। একই সঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৩ থেকে ৩১ ডিগ্রিতে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ সময় সংবাদকে বলেন, ‘শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে নভেম্বরে তাপমাত্রা আরও কমে শীত নামার পাশাপাশি কুয়াশা বাড়বে।’
পঞ্চগড়ে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সন্ধ্যার পর শিশির বিন্দু পড়ার কারণে শেষ রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও এ এলাকায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শীতের তীব্রতা হ্রাস পায়।