আইন ও আদালত ডেস্ক, আজনিউজ২৪: নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবারও জিজ্ঞাসাবা চাইবে ডিবি। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের সামনে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। তার দেহরক্ষী টিপুকে একদফা রিমান্ড শেষে আবারও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় তার বাসভবন থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও মাদকের আলাদা দু’টি মামলায় টিপুকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছে চকবাজার থানা পুলিশ। এ দুটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে ২৫ অক্টোবর রাতে বইপত্র কিনে মোটরসাইকেলে করে সস্ত্রীক সেনানিবাস এলাকায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ি। তিনি এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে তার স্ত্রীকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর সকালে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার ও গাড়িটি জব্দ করে। পরে ইরফান সেলিমের চকবাজার দেবিদাস ঘাট লেনের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে গুলিভর্তি পিস্তল ও বিদেশী মদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে র্যাব। মাদক গ্রহণ ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৮ মাসের সাজা হয় ইরফান সেলিমের। পরে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সূত্র : চ্যানেল আই