আবহাওয়ার পরিবর্তন ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে দেশের বেশকিছু নদনদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে তিস্তা, সুরমা, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছেনীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে বইছে।
ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নীচু এলাকা। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এদিকে, কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র, গংগাধর, দুধকুমারসহ ১৬ টি নদ-নদীর পানিও দ্রুত বাড়ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে পাট, ভুট্টা, সবজি তেসহ বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে তিল, আউশ ধান ও কাউনসহ অন্য ফসল। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার খুব কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৭ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এখন পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় জেলার যাদুকাটা, রক্তি, খাসিয়ামারা, চলতি, সুরমা, পাটলাইসহ সবকটি সীমান্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঢলের কারণে হাওর এলাকাতে পানি বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার শক্তিরখলা, মুসলিমপুর, ডলুরা, আক্তাপাড়া, জগন্নাথপুর ও সোলেমানপুর, লাউড়েরগড় পয়েন্টে সীমান্ত নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধিও কারণে নদী তীরবর্তী এলাকা সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিমবাজার, সাববাড়ির ঘাট, বড়পাড়া মল্লিকপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টেও পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি গেইট খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সূত্র : এটিএন বাংলা ও চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর