১২ নভেম্বর, এইউজেডনিউজ২৪ ঃ ঈশিকা শাম্মি। একজন স্বপ্নময়ী ও সম্ভাবনাময়ী রমণী। একদা রাজনীতি চর্চা করলেও কোন এক অজানা কারণে পিছু পা হয়েছেন। তবে, থেমে থাকেননি। নিজেকে তৈরী করেছেন নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য। তিনি বর্তমান একজন বিউটিশিয়ার ও যুব কল্যানের মহিলা সম্পাদক।
সম্প্রতি কথা হয় তার সাথে। শাম্মি বলেন, বিউটিশিয়ান হবার ইচ্ছে ছিলো ছোট থেকে। সাজের সম্পর্কে আমার জানার ঝোঁক ১৭ বছর বয়স থেকেই। আর মেকআপ আর্টিস্ট হবার প্রবল ইচ্ছেও ছিল বটে। আগে পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনদের যখন সাজাতাম তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল আমি বড় মাপের এক জন্য বিউটিশিয়ান হব। গত তিন বছর আগে একটা পার্লার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন আমি নিজেই একটা পার্লার দিয়েছি। আমার স্বামী আমাকে সমর্থন করে সর্বদাই। সবার বিপক্ষে আমার স্বামী এর হাত ধরে আমি বিউটিশিয়ান। হয়েছিলাম আজকের অনন্যাতে বিজয়ী। তবে, বিউটিশিয়ান হয়েই বাকি জীবন কাটাতে চাই না। আমি মন থেকে চাই দেশ ও দশের জন্য ভালো কিছু করার।
তিনি জানান, যুব কল্যানের মহিলা সম্পাদক হবার পেছনে স্বামীর অবদানই বেশি। এক সময় রাজনীতি করতাম। হঠাত রাজনীতি ছেড়ে দিলাম বিশেষ এক কারনে। তারপর যুব কল্যানের প্রতিষ্ঠাতা হিরু ভাই এর হাত ধরে তার মহিলা সম্পাদক পদে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বলা চলে নতুন দিনের প্রত্যাশায়, নতুন এক প্লাটফর্ম।
তরুণদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তরুণদের অবশ্যই নেশামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। কেননা, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ পেতে হলে তরুণদের অবদান রাখতে হবে সবচেয়ে বেশী। বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে আমাদের দেশে। কিন্তু চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি বর্তমান সরকার। আশাকরি, খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হয়ে সোনার বাংলা উপহার দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে নারীরা স্বাধীন হয়ে কর্মজীবন কাটাচ্ছে। আমাদের বেলায় কিন্তু তা হচ্ছে না! আমাদের নারীদের একপ্রকার বন্দী জীবন কাটাতে হয়। পরিবার থেকেও খুব একটা সমর্থন করতে চায় না। যদি সহজ ভাষায় বলি তাহলে বিষয়টি এমন দাঁড়ায়, নারীদের বাহিরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। আর কোন পরিবার চাইবে না তার সন্তানটি কারো লালসার পাত্র হয়ে অকালে ঝড়ে যাক।
শাম্মি বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে হবে। তাহলে আমার মনে হয় নারী নির্যাতন কমে আসবে। আমরা যারা নারী আছি নিশ্চিন্তে পুরুষের সাথে এক কাতারে দাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবো।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, সমাজের অসাহয়দেরকে নিয়ে, নির্যাতিত-নীপিড়িত নারীদের পাশে নিয়ে দেশের জন্য সমাজের জন্য কাজ করার ইচ্ছে আছে আমার। আমি একটা বৃদ্ধাশম খুলতে চাই। ছোট থেকেই আমার এ ইচ্ছে লালন করে আসছি। আমি আমার ছেলেদেরকে বলে রেখেছি। যদি আমি বাস্তবায়ন করে না যেতে পারি তবে যেন তারা আমার এই ইচ্ছেটা পূরন করে। সূত্রঃ Entertainment bd
নির্যাতিত-নিপীড়িত নারীদের পাশে থাকার প্রত্যয় শাম্মির
জানা অজানা
0 Views