রাজধানী ডেস্ক: রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দোষ কাউকে গ্রেফতার কিংবা হয়রানি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশিদ।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আগে গ্রেফতারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি শুধু তাদেরই গ্রেফতার করেছি। আমি মনে করি অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
টিপু হত্যায় জড়িত ছয়জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছয় জনের টিপু হত্যায় কার কী ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর রশিদ বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। সেখানে জড়িত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও কথা বলে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি তাদের গ্রেফতার করেছি। এবং আমি মনে করি অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না।
যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ ও আগে গ্রেফতারদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী তাদের গ্রেফতার করেছি।
হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের টিম কাজ করছে। সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা অতিদ্রুত চার্জশিট দেব।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। সেই সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দুই খুনের ঘটনায় সর্বশেষ দুজনসহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪-৫ জন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।