জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাঠামো সংস্কার এবং আফ্রিকার জন্য একটি স্থায়ী আসন বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এসেছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এ আহ্বানে সমর্থন দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোগানও।
এবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দুটি স্থায়ী আসন দেওয়ার পক্ষে তারা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে।
বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তবে জানা গেছে, ওয়াশিংটন বর্তমান পাঁচ দেশের বাইরে ভেটো ক্ষমতা সম্প্রসারণের পক্ষে নয়।
বর্তমানে গাজার যুদ্ধে ইসরাইলকে অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে আফ্রিকার অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অসন্তুষ্ট। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো। আর সবমিলিয়ে আফ্রিকা অঞ্চলে চীন এবং রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। মনে করা হচ্ছে, আফ্রিকাকে খুশি করতে জাতিসংঘকে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্টের মাঝামাঝি জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছিলেন, ‘আমরা এটা মেনে নিতে পারি না যে বিশ্বের প্রধান শান্তি ও নিরাপত্তা সংস্থায় একশ কোটির বেশি মানুষের একটি মহাদেশের জন্য একটি স্থায়ী কণ্ঠস্বর (আসন) নেই’।
‘আফ্রিকা ও বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে তাদের মতামতকে অবমূল্যায়ন করার বিষয়টিও আমরা মেনে নিতে পারি না’।
বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট। এদের মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন এই পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ হলো—চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বাকি ১০টি অস্থায়ী আসন আঞ্চলিকভাবে ভাগ করে বরাদ্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য তিনটি; এশিয়া-প্যাসিফিক, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় এবং পশ্চিম ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের জন্য দুটি করে এবং পূর্ব ইউরোপের জন্য একটি বরাদ্দ দেওয়া।