পারিবারিক বিরোধ ও সম্পত্তির জেরে চিত্রনায়িকা পপিকে আবারও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। নায়িকাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তাঁর চাচাতো বোনজামাই তারেক আহমেদ চৌধুরী।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) পপির বড় চাচা কবির হোসেন মারা যান। লাগাতার হত্যার হুমকির কারণে তাঁকে দেখতে যেতে পারেননি পপি।
পপির অভিযোগ, চাচা কবির হোসেনের কাছ থেকে ২০০৭ সালে জমি ক্রয় করেন তিনি। অথচ সেই জমি দখলে রেখেছেন তাঁর চাচাতো বোন মুক্তা ও তাঁর স্বামী তারেক আহমেদ চৌধুরী।
বিগত সরকারের সময় নিজের সম্পত্তি বুঝে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতেন তারেক। এমনকি খুলনার মাটিতে গেলে তিনি আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না বলেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসেও পপি তাঁর জমি বুঝে নিতে চাইলে বিএনপিকর্মীর নাম ভাঙিয়ে আবারও হুমকি দেন তাঁর বোনজামাই তারেক।
পপি জানান, তাঁর বোনজামাই তারেক তাঁদের বাড়িতে লজিং মাস্টার হিসেবে থাকতেন। পরবর্তীতে তাঁর চাচাতো বোন মুক্তাকে বিয়ে করে জমিদার বাড়ি দখলে নেন। একসময় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকায় তারেক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পপির ক্রয়কৃত জায়গা দখলে নেন।
দেশে সরকার পতনের পর সেই ক্রয়কৃত জায়গা তারেকের কাছে ফেরত চান পপি। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। আবারও জমি নিজের করে নিতে অভিনেত্রীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে জানান পপি।
পপির ভাষায়, “আমার চাচা যখন বাইরের লোকদের কাছে জমি বিক্রয় করছিলেন তখন আমাদের পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আমি নিজেই আমার সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করি। আমার চাচা ২০০৭ সালেই জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু এর কয়েক বছর পর যখন আমি আমার জায়গা বুঝে নিতে যাই তখনই আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।”
জানা যায়, শুধু পপিকে নয়, তাঁর আরেক চাচা বাবর হোসেনকেও নানা সময়ে হুমকি দিয়েছেন তারেক। এ বিষয়ে সম্প্রতি খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অভিযোগের বিষয়টি জানতে কয়েক দফা খুলনার জমিদার বাড়িতে গেলেও দেখা করেননি অভিযুক্ত তারেক। এমনকি মোবাইল ফোনে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তাঁর স্ত্রী মুক্তা ফোন রিসিভ করে এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

